আজ আমার হাল ছাড়তে মানা, জোছনা রাত্রিরে জোনাকদের কান্না,
প্রভাত ফেরীতে কিছু মৃত্যুর শোকে, নব রবি তার সোনালী রশ্নির ছোঁয়ায়
সে অচেনা রাতের শেষে, শোক-কাতর কে সে অজানায়?
কিছু দুঃস্বপ্নেরা খেলা করে, অন্ধ মনের বিচলিত প্রান্তরে,
সে আমায় বোবা বানায়, হারিয়ে ফেরায়, আঁধারে নীল চাঁদরে আকা গোলোক ধাঁ-ধাঁয়
অসহনীয় বিবস্ত্র দাবানলের ঝলসানো আলোয়! কিসের জন্যে আমি আজ,
মৃত্যু কামনা করি?
অন্ধ অতীতের ক্ষান্ত বর্ষণে, কেন প্রভাতের সন্ধান করি? বিগত লগ্নের বিদায়ী ঘন্টায়,
আমি আজো পুনঃজাগরনে ব্যর্থ? না সম্মুখে, না পশ্চাতে,
হ্যাঁ, কাল শেষে আমি নিজ অতীত বলয়ে বন্দী! তবে কার জন্যে?
ভুল সত্ত্বার আড়াল থেকে, ভবিতব্যের আন্দোলিত এক মহাকাব্যে আমায় ডাকে!
মধ্যরাতের তুমুল বর্ষণে, নিঠুর বিজলী, তার অপার ঝংকারে দাঁড়ায়!
তবে কী আমার ডাক এলো বলে?
দাসত্বের বন্দী প্রাণের অবসান হবে তবে?
নয়তো, এবারের ডাক হবে আমার নিকষ আঁধারের অতলে গহ্বরে?
তবে তাই হোক, আঁধারের মধ্যে যদি এক মহাকাব্যের সূচনা হয়!
হ্যাঁ, তখন আমার মুক্তি ঘটবে, নিজে অন্তর-জালের মিছে-মায়া হতে,
হ্যাঁ, তখনও ফিরে আসব, আঁধারে লুকোনো সে প্রতিপক্ষের হয়ে!
-সূচক (Foisal Shahriyer)
Send private message to author