কেবলী তোমার জন্যে আমার নিশ্চুপ আগমন, এ অপার ধরণীর ছায়াতলে,
নীহারিকার সুমধুর গুঞ্জনে, এ নির্ঘুম আমার প্রত্যাবর্তন।
আমি সে হাহাকার ছোঁয়া, গ্রাসের সাগরে জমে থাকা বিন্দু বিন্দু
শিশির কণার মাঝ থেকে, ভালোবাসা এনে তোমার কপালে ছড়িয়ে দিলাম।
এক টুকরো নীল মেঘের ঝলকানির আভাস লুকনো,
চাঁদের পৃষ্টে মুক্ত বিহঙ্গ, যেথা উজার পৃথিবী অবলোকন করে,
সে পাড়ে আমাদের পুথি এ কোনো পরদেশী পাঠ করে?
অপার মহাবিশ্বে ছাপিয়ে, আমি আজ তোমার সম্মুখে
মনে পড়ে, সে সব অলিখিত দিনগুলোর কথা?
নিশ্চয় ভুলে গেছ, নিঝুম অবেলায় আঁধার গগন পানে,
একবার চেয়ে দেখবে?
নক্ষত্রের ঘরে কেমন করে লিখা আমাদের আগের জন্মের গল্পকথা
কি? দেখতে পেরেছ?
কি? বুঝতে পেরেছ, কেন বারবার ফিরে আসি, তোমার কাছে।
কেন ই বা বারবার তুমি দূরে ঠেকে দাও আমায়,
কেন ই বা এ বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ড চায় আমরা অতীতের পুনরাবৃতি ঘটাই!
অজানা ভবিষ্যতের পানে
অবুঝ খোকার মত করে,
আবারও মহাবিশ্বের প্রতিটি অলিখিত প্রান্তে।
-সূচক
Send private message to author