অসুখে-বিসুখে রাত-বিরেতে
নিবেদন: প্রেমময়ীর করকমলে 🌹
কর্মঘন্টা শেষে গত পরশু সন্ধ্যাবেলায় নিত্যকার আহারাদি সংগ্রহের উদ্দেশ্যে হাটে গমন করেছিলাম। হঠাৎ দেখি অকস্মাৎ বৃষ্টির আগমন। ব্যাগ থেকে ছাতা বের করার কোন ইচ্ছেই আমার নেই। কি আর হবে এমন বৃষ্টিতে ভিজলে। বাসা ফিরা অবধি আর আলসেমিতে ছাতা খোলা হলো না। গতকালও একি দশা হলো। বৃষ্টি এলো, কিন্তু ছাতা ছিল না। শেষমেষ ভিজে ভিজে বাসায়।
ফলে হলো কি! গলায় খসখসে কাশি আবার শুরু! আমার আবার একবার গলায় খসখসে কাশি শুরু হলে তা দূর হতে মাস তিনেক লাগে। হাজার ঔষধ গ্রহণ করলেও তার নিরাময় হয় না। দিন বাড়ালে হঠাৎ একদিন উধাও হয়ে যায়।
অনেকগুলো শস্যক্ষেত, পাহাড়, লোকারণ্য সব পাড়ি দিয়েই একবারেই শেষান্তে আমার বাড়ি। সপ্তাহান্তে যাওয়া হয়, আবার মাঝেমাঝে তাও হয় না।
নিয়মিত পেয়িং গেস্ট হিসেবে জীবনের দিশা খুঁজে পাই না, হয়তো এভাবেই অসুখে-বিসুখে জীবনের সমাপ্তি ঘটবে।
অন্ধকার রাতে যখন ধানের ক্ষেত থেকে তেড়ে আসা ঝিঁঝি পোকারা গুঞ্জনরত, রাতের তারারা তখন মেঘের আড়ালে লুকিয়ে থাকে, তখন পূর্ণিমার আলোতে নিজেকে খুঁজি বেড়াই। খুঁজি বেড়াই সেই তোমার কোমল হস্তের পরশ।
ধবধবে ফ্লোরের মাদুরে এলোমেলো অবস্থায় থাকা অসংখ্য উপন্যাস, ক’টি লাল-হলুদ খামের চিঠি, বলপয়েন্ট কলম, ক’টি শুভেচ্ছা কার্ড, জীবনের ক্ষতগুলোর রোজনামচার পাশে যখন অসুখ-বিসুখে যখন মৃত্যুর কাছাকাছি যাওয়ার উপক্রম তখন তুমি কি আসবে একটি শাল হাতে কিংবা এক পেয়ালা চা হাতে নিয়ে?
তুমি সত্যিই আসবে ভরা পূর্ণিমার ন্যায় তিমিরের মাঝে জ্বলন্ত শিখা হয়ে? কিংবা ভালবাসার অন্তিম সাথী হয়ে?
-ক্ষীণ আলোতেও জীবনের দিশা খুঁজে যে তরুণ
মাহবুব নেওয়াজ মুন্না | অক্টোবর ১৯, ২০২১ | রাত
©️Writer Mahbub Newaz Munna
Send private message to author
স্যরি, ছোট গল্পের সংজ্ঞা কি ভুলে যেতে বলছেন?
মুশরেফা শরিফ আপু, মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমার পরের লিখাগুলোতে প্রকৃত ধরন ঠিক রাখার চেষ্টা করবো। ইনশাআল্লাহ।