“আমি সবজায়গায় এডজাস্ট করে চলতে পারি- সেটা মায়ের বাসা হোক আর শ্বশুড়বাড়িতেই হোক।
আল্লাহ আমাকে মানিয়ে নেওয়ার অসাধারন ক্ষমতা দিয়েছেন!
শ্বশুরবাড়ি গেলে ভালো ভালো খাবার না পেলে আমি মুখ গোমড়া করে থাকি না। এ নিয়ে আমার লাইফ পার্টনারের কাছে ঠাট্টাচ্ছলে অভিযোগও করিনা—-
আমি শুধু পানি দিয়ে লবন মাখিয়ে পান্তাভাত যেমন অমৃতের মতো খেতে পারি ঠিক তেমনি ঘিয়ে ভাজা পোলাও -রোস্টও নিমিষে শেষ করতে পারি। খাওয়া নিয়ে আমার কোন মাথা ব্যাথা নেই! যাই খাই আলহামদুলিল্লাহ!
সারা রাত ছোট বাচ্চাটার জন্য নিদ্রাহীন রাত কাটিয়ে আবার ঠিক সময়ে ভোরে উঠে বড় বাচ্চাকে স্কুলের জন্য রেডি করে, খাইয়ে অফিস যেতে পারি।
সারা রাত ঘুম হয়নি বলে আমি ‘আহ-উহ’ করিনা কিংবা কাউকে সাধিনা ” আমার মাথাটা টিপে দাও তো!”
অফিস থেকে ফিরে ক্লান্তির দোহাই দিয়ে এক কাপ লেবু চা নিয়ে ‘বিগ বস’ দেখতে বসিনা। আমাকে দেখতে হয় আমার বাচ্চাটা আজ সারাদিন স্কুলে কি কি করেছে, কিভাবে দিন কেটেছে…”
উপরের স্ট্যাটাসটি পড়লে আমরা চোখ বন্ধ করে নিশ্চিত হই যে কথাগুলো একজন কর্মজীবী মায়ের কথা। যেদিন একজন পুরুষ এভাবে স্ট্যাটাস দিতে পারবেন সেদিনই নিশ্চিত হবে “অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর!”
মা খুশি তো পরিবার খুশি, পরিবার খুশি তো জাতি খুশি! সারাবছরই নারী দিবস হোক! সবাইকে শুভেচ্ছা! 🌹
Send private message to author